পটুয়াখালী প্রতিনিধি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে সিল পিটিয়ে নির্বাচিত করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন পটুয়াখালী পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য ইঞ্জিঃ জামাল হোসেন। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
গত ১৮ অক্টোবর পটুয়াখালী শহরের সবুজবাগ এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আফজাল হোসেন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় জামাল হোসেন তার বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।
সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া অডিও ও ভিডিওতে জামাল হোসেন বলেন, পটুয়াখালীতে রেডিমেট এসে (রুহুল আমিন হাওলাদার) আমাদের দিয়ে সিল পিটিয়েছে। কিন্তু কোনো উন্নয়ন হয়নি। আমরা সেই ভুলটা দ্বিতীয়বার করতে চাই না। আমাদের বলেছিল (রুহুল আমিন হাওলাদার) সোনার চামচ মুখে দিয়ে দিবে, এই যুবলীগের (জেলা যুবলীগের সভাপতি) শহীদ ভাই স্বাক্ষী।
এদিকে জেলা পরিষদ সদস্য ও পটুয়াখালী পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন এর বক্তব্যটি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে দলের ভেতরে এবং বাহিরে চলছে সমালোচনা।
এ বিষয়ে জামাল হোসেন তার বক্তব্যের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন “আপনারা তো জানেন কিভাবে উনি এমপি হয়েছে। ওনাকে কেউ চেনে না, উনি হেলিকপ্টারে এসে আবার চলে যায়। তিনি আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের ব্যবহার করেছেন। এবারও যদি তাকে (রুহুল আমিন হাওলাদার) মনোনয়ন দেয় তবে তার ভরাডুবি হবে। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান সংসদ সদস্য এডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়ার মনোনয়ন উড্ডো করিয়ে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরিয়ে ওই সময় জাতীয় পার্টিকে জোটে জায়গা করে দেয় আওয়ামীলীগ। সে সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্বে ছিলেন রুহুল আমিন হাওলাদার। তার স্লোগান ছিলো ‘এ আসনে নৌকা নাই, লাঙ্গল হলো নৌকার ভাই’। সে সময় অনেকটা আওয়ামীলীগের কাধে ভড় করেই তিনি এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু পটুয়াখালীর কোনো উন্নয়ন তিনি করেননি”।
পটুয়াখালী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তারিকুজ্জামান মনি এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি লোক মুখে এমন একটি ভিডিওর কথা শুনেছি, যেখানে নির্বাচন এবং উন্নয়ন নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করা হয়েছে। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দেখবো।
তবে এ বিষয় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও পটুয়াখালী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, এটা আত্মঘাতিক মূলক বক্তব্য। এটা আওয়ামীলীগের বক্তব্য হতে পারে না।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এটি আওয়ামীলীগের দলীয় কোন বক্তব্য নয়। আমরা বিষয়টি দেখছি।’