মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: তার পুরো নাম মীর শরীফ মাহমুদ।ডাক নাম শরীফ।ভালোবেসে কেউ শরীফ,সভাপতি,লিডার,সংগঠনের গুরু,উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্ণধার, আবার অনেকেই ভাই বলেও ডাকে।আবার কেউ কেউ নেতা বানানোর কারিগর বলেও সম্বোধন করে ।মীর শরীফ মাহমুদের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের নাজির পাড়া এলাকায়।তার বাবা মৃত মীর ছাদত হোসেন ও মাতা সৈয়দা ফাতেমা।তিনি ১৯৬২ সালের ১লা জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।ভাই-বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়।সংসার জীবনে তার এক ছেলে ও স্ত্রী আছেন।বসবাস করছেন সুখেই।
তিনি গোড়াই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষাজীবন শুরু করেন।পরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার গোলাম নবী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুর সরকারি কলেজ (বর্তমানে শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা কলেজ) থেকে এইসএসসি ও ডিগ্রি পাস করেন।
তিনি একজন আওয়ামী পরিবারের সন্তান।সেই হিসেবে তিনি স্কুল জীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত।রাজনীতিতে রয়েছে তার ব্যাপক অবদান ও বিশাল পরিচিতি।তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গোলাম নবী উচ্চ বিদ্যালয় শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন।১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত কালিয়াকৈর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক।টাংগাইল জেলা ছাত্রলীগ সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত।টাংগাইল জেলা সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ যুগ্ম-আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত।১৯৯১ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত মির্জাপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের (বর্তমানে শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা কলেজ) ভিপি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।পরে জাতীয় শ্রমিক লীগ গোড়াই আঞ্চলিক শাখায় ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।মির্জাপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ (বিআরডিবি) এর পরপর চার বার সভাপতিও নির্বাচিত হন।২০১৫ সাল থেকে দীর্ঘ ৮ বছর টাংগাইল জেলা আওয়ামীলীগের সদস্যপদ লাভ করেন তিনি।২০০৩ সাল হতে ২০২২ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৯ বছর মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন।২০২২ সাল থেকে তিনি মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব সফলভাবেই পালন করছেন বলে জানা যায়।
এছাড়াও তিনি মির্জাপুর উপজেলা সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন দীর্ঘদিন যাবত।
রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিকভাবেও রয়েছে তার পরিচিতি।এখানেও তিনি পিছিয়ে নন।তিনি তার নিজ হাতে প্রতিষ্ঠা করেছেন মীর শরিফ মাহমুদ ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট,মা-ফাতেমা স্কুল এন্ড কলেজ,গোড়াই মেধাকুঞ্জ বিদ্যানিকেতন,মীর ছাদত হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,মা-ফাতেমা তারার মেলা অটিজম বিশেষ স্কুল,মা-ফাতেমা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল (প্রস্তাবিত),মা-ফাতেমা নার্সিং স্কুল এন্ড কলেজ (প্রস্তাবিত),সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন গোড়াই স্বাধীন সূর্য সংসদ,মুক্তি একাডেমি,মির্জাপুর শিল্পকলা একাডেমি।
রাজনীতি করতে গিয়ে খেয়েছেন মামলা,করেছেন কারাবরণ।তারপরও পিছু হাটেননি তিনি।দুর্বার গতিতে যেন পথচলা তার।
রাজনৈতিক মামলায় তিনি ১৯৮২ সালে সামরিক আইনের সময় দীর্ঘ ০১ বছর জেল খেটেছেন।১৯৯২ সালে বিএনপির শাসনামলে মিথ্যা রাজনৈতিক মামলায় দীর্ঘ ০৯ মাস জেল খেটেছেন তিনি।খেয়েছেন অসংখ্যবার মার,কিল,ঘুষি।আওয়ামী রাজনীতিতে এসে করেছেন ব্যাপক ত্যাগ স্বীকার।
শুধু মীর শরীফ মাহমুদ একাই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত নন।জড়িত আছেন তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও।মীর শরীফ মাহমুদের বড় ভাই মীর দৌলত হোসেন বিদ্যুত মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।বর্তমান তিনি টাংগাইল জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।তিনি মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন কার্যকরী সদস্যও।
মীর শরীফ মাহমুদের মেজো ভাইয়ের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মীর এনায়েত হোসেন মন্টু।মন্টু নামেই তিনি বেশি পরিচিত।তার অনেক খ্যাতি রয়েছে।তিনি মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছন ও দীর্ঘদিন সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।তিনি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যও ছিলেন দীর্ঘদিন।তিনি মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের টানা তৃতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে বর্তমানেও দায়িত্ব পালন করছেন।গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন টানা ২৫ বছর।এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
মীর শরীফ মাহমুদের স্ত্রীর নাম আজিজা সুলতানা।তিনি মা-ফাতেমা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
মীর শরীফ মাহমুদের সাথে কথা বললে তিনি দৈনিক ডেল্টা টাইমস্ কে বলেন,আমি স্কুল জীবন হতে পারিবারিকভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করি।বিগত দিনে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও খালেদা জিয়া বিরোধী আন্দোলনে মির্জাপুর উপজেলায় নেতৃত্ব দিয়েছি। আন্দোলন, হরতাল, মিছিল, মিটিং, মানববন্ধন, রাজপথ ও রেলপথ অবরোধ,সভা-সমাবেশসহ আওয়ামী লীগের সকল কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দিয়ে সফল হয়েছি। মির্জাপুর উপজেলায় নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন ইউনিয়নে দলীয় কার্যালয় স্থাপন করে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করিয়া আসিতেছি।উপজেলার সকল সাংগঠনিক ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের আমি নিজে স্ব শরীরে উপস্থিত থেকে সম্মেলন
করেছি এবং সফলভাবে কমিটি গঠন করেছি।
এছাড়া তিনি আরো বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ,মসজিদ,মন্দির, এতিমখানা, মাদ্রাসা,কবরস্থানে নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থ অনুদান দিয়ে রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডে আগেও অংশগ্রহণ করেছি,এখনো করিতেছি এবং ভবিষ্যতেও করব ইনশাআল্লাহ।আপনারা সবাই জানেন যে,সারা বিশ্বে করোনার মতো এক ভয়ংকর ভাইরাস এসেছিল।বাংলাদেশও সেই ভাইরাস থেকে ছাড় পাই নাই।অসংখ্য মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়,অনেকে মৃত্যুবরনও করেছেন।ফলে মানুষের মধ্যে দেখা দেয় আতংক।মানুষ তখন কাজকর্মহীন হয়ে পড়ে।ফলে সাধারণ মানুষ পড়ে যায় বিপদে।আয় হয়ে যায় বন্ধ।অনেক সাধারণ মানুষের ঘরে খাবার থাকত না,বাচ্চার দুধ থাকত না,চিকিৎসা করার টাকা থাকত না,ঠিক সেই সময় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমার উপজেলার সকল সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে গেছি।আমার জানামতে আমার উপজেলায় একটি মানুষকেও না খেয়ে থাকতে দেই নাই।আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গেছি এবং ভবিষ্যতেও করব সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের জন্য কাজ করে যাওয়া। বিগত দিনে সকল প্রকার নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে কাজ করে দলীয় প্রার্থীকে জয়লাভ করিয়েছি।দীর্ঘ ৪৫ বৎসর যাবত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে মির্জাপুর উপজেলার সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করিয়া আসিতেছি।আমি ১৯৮৭-৮৮ সালে মির্জাপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ( বর্তমানে শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা কলেজ) নির্বাচনে মির্জাপুর আসনের সাবেক বিএনপির এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে ভিপি নির্বাচিত হয়েছি।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি,বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি মনে করেন আমাকে মনোনয়ন দিলে দলের জন্য ভালো হবে,তাহলে আমাকে মনোনয়ন দিবেন।তবে আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার বাহিরে যাব না।কারন নৌকার জন্য আমি আমার জীবন যৌবন সব শেষ করে দিয়েছি।
মির্জাপুর উপজেলার মোট ভোটের অর্ধেক পাহাড়ি এলাকার ৫ টি ইউনিয়নে (গোড়াই,আজগানা,বাঁশতৈল,তরফপুর ও লতিফপুর)।স্বাধীনতার পরবর্তী এই এলাকা থেকে কেউ মনোনয়ন পায় নি।আমাকে মনোনয়ন দিলে এলাকার ছেলে হিসেবে দলমত নির্বিশেষে কাস্টিং ভোটের ৮০% ভোট আমি পাব এবং আমি বিশ্ব মানবতার মা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এই আসন উপহার দিতে পারব।
আমি জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম প্রচারনাসহ মির্জাপুর উপজেলায় ১৪৪ টি ওয়ার্ডে গত ৮ মাস ২৭ দিনে ৫৩২ টি প্রোগ্রাম করেছি। তাই নৌকার বাহিরে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই।দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আপনারা সবাই নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন,নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত হবেই ইনশাআল্লাহ।