রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান। এবার নগর যুবলীগের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদের আশায় কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন সিভি। কিন্তু শোকের মাস আগস্টে দলীয় কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ না করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে কক্সবাজারে আনন্দ ভ্রমণে যাওয়ার ঘটনায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও অশোন্তষের দেখা মিলেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুবলীগের সিনিয়র এক নেতা জানান, আগস্ট মাস শোকের; আনন্দ উৎযাপনের জন্য নয়। এ মাস শুধু আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠনই নয়, বরঞ্চ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, সংগঠন, সমিতি শোক দিবসের নানা কর্মসূচি হাতে নিয়ে থাকে। এসব দলীয় কর্মসূচিতে অংশ না নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আনন্দ ভ্রমণ করাটা মোটেও একজন মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী নেতার কাজ নয়। নাহান যে কাজটি করেছে তা মোটেও ঠিক করেনি।
জানা গেছে, রাজশাহী থেকে জুলাইয়ের শেষ দিনে দুই মাইক্রো নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তিনি। সাত দিনের সফরে গিয়েছেন তারা। কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি হয়ে বেড়িয়ে আগামী ৭ তারিখের দিকে ফিরবেন রাজশাহী। তবে আগস্টের শুরুতেই তার এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রত যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবলীগ কর্মী জানান, যুবলীগ নেতা নাহান তার ফেসবুক প্রোফাইলে একটি ছবি আপলোড করেছিলেন। সেখানে একটি মাইক্রোবাসে দলীয় নেতাকর্মী ও রাজশাহীর কিছু জমি ব্যবসায়ীদের দেখা গেছে। পরে এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে সমালোচনার সৃষ্টি হলে তিনি পোষ্টটি ডিলিট করে দেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি রমজান আলী জানান, বর্তমানে সে যুবলীগের কোন পদে নেই। কিন্তু আগামী যুবলীগের যে কমিটি হবে, সে কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি প্রার্থী হতে কেন্দ্রে সিভি জমা দিয়েছেন। তার উচিত ছিলো, দলীয় নেতাকর্মীদের তার আনন্দ ভ্রমনে যাওয়ার বিষয়টি অবগত করে বাকি যুবলীগ নেতাকর্মীদের শোকের মাসের প্রথম দিনের কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ নির্দেশ দিয়ে যাওয়া।
নেতাকর্মীদের নিয়ে আনন্দভ্রমণের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান বলেন, আমি এখানে কোন আনন্দভ্রমণের জন্য আসিনি। কাজে এসেছি। আগস্ট মাস শোকের সেটা সবারই জানা। কিন্তু তাই বলে কি শোকের মাসে কারো কাজ থাকতে পারে না। মূলত: আমাকে দলের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই এমন মিথ্যা প্রচারণা করা হচ্ছে বলে দাবি জানান যুবলীগের সাবেক এই নেতা।