নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার এক স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে প্রথম স্বামীকে নিয়ম মাফিক তালাক না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এছাড়া তার বিরুদ্ধে প্রথম স্বামীর টাকা পয়সা আত্মসাতেরও অভিযোগ উঠেছে। প্রথম স্বামী প্রবাসে থাকায় এ নিয়ে মির্জাপুর থানার আমলী আদালতে ভুক্তভোগী প্রবাসে থাকায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।বর্তমানে পিবিআই মামলাটি তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়,গত বছরের ২৯ অক্টোবর উপজেলার সরিষাদাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জ্যোৎস্না আক্তার উপজেলার সরিষাদাইড় গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলামের বিয়ে হয়।বিয়ের পর সিরাজুল ইসলাম কর্মক্ষেত্র দক্ষিণ কুরিয়া যান।প্রবাসে যাওয়ার আগে এবং পরে বেতনের প্রায় ৬ লক্ষ টাকা পাঠান জ্যোৎস্না আক্তারের ব্যাংক একাউন্টে।কিন্তু প্রথম স্বামীর সঙ্গে সংসারজীবন অতিবাহিত করার সময়ই উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া মধুরটেকি এলাকার হাফিজুর রহমান নামের এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন এবং এ বছরের জুনে স্কুল শিক্ষিকা প্রথম বিয়ের কথা গোপন করে নিজেকে কুমারী উল্লেখ করে হাফিজুর রহমান নামের ওই প্রেমিককে বিয়ে করেন।এই বিয়ের দুইদিন আগে প্রথম স্বামী সিরাজুল ইসলামকে তালাক দেন স্কুল শিক্ষিকা। কিন্তু তালাকের পর ৯০ দিন সময় পার না করেই দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি,যা আইনের বহির্ভূত।
মুঠোফোনে সিরাজুল ইসলাম বলেন,আমার সাথে ওই স্কুল শিক্ষিকা জ্যোৎস্না আক্তার বিয়ের নামে প্রতারণা করেছে।আমি আইনের দারস্থ হয়েছি।আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই,আর যেন কারো সাথে এরকম প্রতারণা করতে না পারে।
অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষিকা জ্যোৎস্না আক্তার বলেন,আমার আগের স্বামীর যে অভিযোগ তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।আমার বিরুদ্ধে কেন এমন অভিযোগ তা আমি জানিনা।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (পিবিআই) বলেন,মামলার তদন্ত চলছে।