মায়িশা ইসলাম রুপা, ঢাকাঃ আলো যেমন জাগতিক অন্ধকার কাটিয়ে সব কিছু মূর্ত করে তেমনি বই মানুষের মনের ভিতরে জ্ঞানের আলো এনে যাবতীয় অন্ধকারকে দূর করে চেতনার আলোতে সবকিছুকে উদ্ভাসিত করে। ভিনসেন্ট স্টারেট বলেছিলেন,”আমরা যখন বই সংগ্রহ করি তখন আমরা আনন্দকেই সংগ্রহ করি”। যদিও বাঙালির প্রানের মেলা অমর একুশে বইমেলা তবে এবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বইমেলার প্রচ্ছদে।
আবিষ্কার প্রকাশনীর মালিক ও লেখক দেলোয়ার হোসেনের অভিযোগ, চলতি বছরের বইমেলায় বাংলা একাডেমির কর্মকর্তারা তাদের আত্মীয়স্বজনদের নামে ৭-৮ টা স্টল বরাদ্দ দিয়েছে। তাঁর অভিযোগটিকে সমর্থন জানিয়ে চিরদিন প্রকাশনীর মালিক কবি মাহবুবা লাকি ফেসবুকে লিখেছেন, “শুধু কি তাই, উনারা অনেকেই এই সব স্টলে বসে বই বিক্রি করেন। তাদের কোন নিয়ম মানতে হয় না। তাদের আত্মীয়দেরও কোন নিয়ম মানতে হয় না। ঠিক বলেছেন দেলোয়ার ভাই।”
একজন পাঠক নবযুগকে দেওয়া সাক্ষাঠকারে বলেন, বাংলাদেশে দুর্নীতি হল দেশটির একটি চলমান সমস্যা, কিন্তু তাই বলে বইমেলায়! জাতি আমাদের কি দিচ্ছে? দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূ্ন্য সহনশীলতা দেখাবার রাজনৈতিক অঈীকার থাকলেও সেটি ঠিকমতো কার্যকর হচ্ছে না। কারন যাদের হাতের দায়িত্ব তাদের একাংশই দুর্নীতির সাথে জড়িত।
এ ব্যাপারে কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেন, মাত্র ৭-৮ টা স্টল কেন? পরের বছর বাংলা একাডেমির কর্তারা আরও বেশি স্টল নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়ে নেবে। একুশের বইমেলাটাকে বাংলা একাডেমির সকলপ্রকার নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যাবার জন্য আমি অনেক আগে থেকে বলে আসছি। আমাদের প্রকাশকরা কেন যে বইমেলাটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চাইছে না, নাকি চেষ্টা করেও পারছে না আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। কলকাতা বইমেলা তো পাবলিশার্স গিল্ড করে। বাংলা একাডেমি তো ওখানেও আছে। আমাদের দেশে একুশের বইমেলাটি বাংলা একাডেমির নিজস্ব কাজকর্মের মধ্যে স্থবিরতাই আনছে না শুধু বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে গবেষণা করার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত বাংলা একাডেমিকে “দুর্নীতির আখড়া”য় পরিণত করে চলেছে।