মোঃ হাবিব উল্লাহ: নরসিংদীর মনোহরদীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৪৬০ বস্তা চাল কালো বাজারে বিক্রি করে এক সপ্তাহ আগে দুবাই পালিয়েছে মতিউর রহমান মতিন নামে এক ডিলার। বিষয়টি নিয়ে গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর চাতাল মিল থেকে চাল কিনে উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করেছেন ডিলারের স্ত্রী তাসলিমা রহমান সখি। মতিন মনোহরদী উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের গাজিউর রহমানের ছেলে এবং ওই ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার। তার স্ত্রী তাসলিমা রহমান সখি একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য।
স্থানীয় লোকজন জানান, ডিলার মতিউর রহমান খাদ্য গোদাম থেকে চাল উত্তোলন করে স্টোরে না এনে কালোবাজারে বিক্রি করে বিদেশে পালিয়ে যান। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর মঙ্গলবার সকালে কাপাসিয়া উপজেলার এক চাতাল মিল থেকে চাল কিনে খিদিরপুর বাজারের স্টোরে রাখেন তাসলিমা রহমান। বুধবার এসব চাল বিতরণ করা হয়।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয় ডিলার মতিউর রহমান মতিন খাদ্য গোদাম থেকে চাল উত্তোলন করে স্টোরে রেখে বিতরণ না করে বিদেশে পলায়ন করেন। ইউএনও’র এমন চিঠিতে এলাকায় বেশ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের ধারণা ডিলার মতিনকে বাঁচাতে ইউএনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা যায়, গত রবিবার ১০ টাকা কেজির খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী সকাল ১১টার দিকে খিদিরপুর বাজারে মতিন ডিলারের স্টোর রুম থেকে উপকারভোগিরা চাল নিতে আসেন। সেখানে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকার পর ডিলারের দেখা না পেয়ে তাঁর বাড়িতে খোঁজতে যান তারা। পরে জানতে পারেন ডিলার মতিন খাদ্য গোদাম থেকে গত ৪ এপ্রিল চাল উত্তোলন করে স্টোরে না এনে কালো বাজারে বিক্রি করে দুবাই পালিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির ডিলার মতিউর রহমানের এই ব্যবসার পার্টনার ছিলেন খিদিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জামিলের খালাতো ভাই নাজমুল ইসলাম এবং একান্ত সাহচর্য স্বপন মিয়া। তবে নাজমুল ও স্বপন দায় এড়িয়ে চলতে চাইছেন।
এ ব্যাপারে মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম কাসেম বলেন, ‘চাল বিতরণের সংবাদ পেয়ে ডিলারের স্ত্রীকে কার্যালয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে। কাগজপত্র দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’