রমজান মাস উপলক্ষে ইফতার এবং সেহেরী বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে সামাজিক এবং সেচ্ছাসেবী সংগঠন কে.এ ফাউন্ডেশন। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১১ এপ্রিল) পটিয়া, আমির ভান্ডার হাছনাত মওলা হিফজুল কোরআন মাদ্রাসায় ছাত্রদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
“বরকতময় রমজান হোক সবার” এই ইভেন্টের মাধ্যমে পবিত্র মাহে রমজানের শুদ্ধতা ও সহমর্মিতা ছড়িয়ে দিতে কে.এ ফাউন্ডেশন পুরো রমজান মাস জুড়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।রমজান মাস জুড়ে কে.এ ফাউন্ডেশন বিভিন্ন ভাবে অসহায় মানুষদের সাহায্য-সহযোগিতা করছে। সিয়াম সাধনার মাসে রোজাদারকে ইফতার করানো হলো মুমিনের বিশেষ আমল। এ বিশেষ আমলের বিনিময়ে মহান আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। এ ছাড়াও রয়েছে অনেক সাওয়াব ও ফজিলত। রোজাদারকে ইফতার করানো প্রসঙ্গে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাওয়াব বৃদ্ধির আমল এবং গোনাহ মাফের আমল হিসেবে ঘোষণা করেছেন। হাদিসে এসেছে- হজরত যায়েদ ইবনে জুহানি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রোজাদারকে ইফতার করালো, তারও রোজাদারের ন্যায় সাওয়াব হবে; তবে রোজাদারের সাওয়াব বা নেকি বিন্দুমাত্র কমানো হবে না। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ)
মহিমান্বিত রমজান মাসে আমরা সকলেই দান করার চেষ্টা করি। আর এই রমজান মাসে প্রতিটি নফল কাজের সোয়াব মহান আল্লাহ্ সত্তর গুণ বাড়িয়ে দেন। এজন্য প্রত্যেক রোজাদারের উচিত নিজের সাধ্য অনুযাযী অনাথ, আর্ত, সহায়-সম্বলহীন ও দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য দানের হাত বাড়িয়ে দেওয়া।