তাসনীমুল হাসান মুবিন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ আর মাত্র পাঁচ দিন। তারপরই বাংলা বছরের দিন পঞ্জিকায় যুক্ত হবে আরও একটি নতুন বছর। পুরনো দিনের দুঃখ, গ্লানি, হতাশা দূর করে আসবে নতুন ভোর। যে ভোরে উদিত হবে নতুন সূর্য। মুছে যাবে সব জঞ্জাল। নব উদ্যমে সাজবে পৃথিবী। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা।’ বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রং-তুলির আঁচড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা রাঙিয়ে তুলছে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজনকে।
বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপনে প্রতি বছরই চারুকলা বিভাগের নানা আয়োজন থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। বর্ষবরণ সফল করতে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছে বিভাগের শিক্ষক, (সিনিয়র-জুনিয়র) শিক্ষার্থীরা। লক্ষ্য একটাই বর্ণিল আয়োজনে দিনটি উদযাপন। ক্যাম্পাসের গাহি সাম্যের মঞ্চ ও চারুকলা বিভাগে ঘুরে দেখা যায় চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ।
বিভাগের শিক্ষার্থীরা বৈশাখের মূল আকর্ষণ বাংলার বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যকে পুনরায় পরিবেশন করতে লোকজ ঐতিহ্যবাহী মুখোশ, প্যাঁচার মাস্ক, মুখোশ, হাতি, বাঘ, পোস্টার ম্যাশ, রিক্সা টানা তৈরি করছে। এছাড়াও অশুভ শক্তিতে প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ব্যবহারের জন্য মুখোশ, ব্যানার-ফেস্টুন তৈরি করা হচ্ছে।
চারুকলা বিভাগের (২০২০-২০২১) সেশনের শিক্ষার্থী জোবায়ের আহমেদ বলেন, এইবারের বৈশাখ কাজ হচ্ছে আমরা খুবই আনন্দিত। আমি যতদূর জানি, করোনা পরিস্থিতির কারণে, বিগত দুই বছর বর্ষবরণ স্থগিত থাকায়, আমাদের পূর্ববর্তী ব্যাচ ও কাজ করতে পারেনি। আমাদের জন্য সৌভাগ্যের, ক্যাম্পাসে এসেই বাঙালির ঐতিহ্য নববর্ষ বরণ কাজের সুযোগ পাচ্ছি। এর মাধ্যমে আমরা নতুন অভিজ্ঞতা তৈরি হবে। নতুন ধরনের কাজও শিখতে পারব।
বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের জন্য আমরা কয়েকদিন ধরেই কাজ করছি। এ কাজে আমি বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী হিসাবে অনেক আনন্দ পাচ্ছি, তেমন কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে।
এবারের বৈশাখী আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজক কমিটির সভাপতি ড. সিদ্ধার্থ দে বলেন, ‘এবার আমরা লোকজ ঐতিহ্যবাহী মুখোশ, প্যাঁচার মাস্ক, মুখোশ, হাতি, বাঘ, পোস্টার ম্যাশ, রিকশা টানাসহ বিভিন্ন ধরনের মুখোশ তৈরির হাতের কাজ শেষ এখন চলছে রং এর কাজ। এত সুন্দর কাজ করার পেছনে সম্পূর্ণ অবদান আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েদের। ওদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এত কিছু সুন্দর ভাবে করা সম্ভব হচ্ছে।