মোঃ হারুনুর রশিদ, সারিয়াকান্দি প্রতিনিধি: বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দী উপজেলার হাসনাপাড়া মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের বেপরোওয়া ভাবে চলাচলে জনসাধারণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
রাত ২ টা থেকে ৩ টায় মাটি ও বালু কাটা শুরু করে। এতে রাস্তার দুই পাশের বাড়ি ঘরে যারা ঘুমাই তাদের কারোরি ঘুম হয়না। অতিরিক্ত শব্দের কারনে অনেক অসুস্হ হয়ে যায়।যারা অসুস্হ ছিলো আগের থেকেই তাদের জীবনহানী হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। কয়েক মাস ধরে একই রাস্তা দিয়ে অনবরত মাটি বহন করায় একদিকে রাস্তা চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আর কমে যাচ্ছে রাস্তার দীর্ঘস্থায়ীত্ব। অপরদিকে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি মরণফাঁদে পরিণত হচ্ছে। সামনে বন্যায় এই বাধের রাস্তা ভেঙ্গে গিয়ে বড় ধরনে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর ও ঘটেই চলেছে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা। এতে করে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।
শুধু সারিয়াকান্দীর একটি গ্রাম নয় পুরো উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চলছে নদীর চরে জেগে উঠা জমির মাটি ও বালু কাটা, অবৈধ যানবাহন ট্রাক্টর দিয়ে সেই মাটি বিভিন্ন লোকজনের বাড়িতে বিক্রির জন্য পরিবহনের কাজ। গত কয়েক মাস থেকে হাসনা পাড়া দ্বিতীয় স্পার নদী সংলগ্ন জমি হতে মাটি কাটার মহা উৎসব পড়ে যায়। ওই মাটি ট্রাক্টর দিয়ে পরিবহন করায় প্রায় এক কিলোমিটার পাকা রাস্তা জুড়ে উপর মাটি পড়ে ঢেকে যায়। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত ট্রাক্টর চলাচলের কারণে রাস্তা ধুলাময় হয়ে যায়।
এ সময় রাস্তায় চলাচলকারী লোকজনদেরকে চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। এতে করে জনস্বাস্থ্য মারাত্নক হুমকির সম্মুখিন হয়। আবার সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি কাদায় পরিণত হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথচারীদের চলাচল করতে হয়। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক শিশু শিক্ষার্থী, সাইকেল মোটরসাইকেল ও ভ্যানসহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহন চলাচল করে থাকে। একদিকে পাকা রাস্তা ক্ষত-বিক্ষত হয়ে ধুলোময় রাস্তায় পরিণত হচ্ছে অপরদিকে সামান্য বৃষ্টি হলে পাকার উপর কাদার তৈরি হয়ে পরিণত হচ্ছে আর এই সবকিছু মিলিয়ে এ যেন কেবল জীবন্ত মরণ ফাঁদের রাস্তা। ধুলাবালিযুক্ত রাস্তায় চলাচলের দ্বারা শিশুরা নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার বেশ সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ছাড়াও এই ধুলাবালি নাশিকা দিয়ে প্রবেশ করায় জনসাধারণের মাঝে শ্বাসকষ্ট রোগ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে ঐ হাটশেরপুর ইউনিয়নের চেয়্যারম্যানের নুর মেহেদী হাসান আলো সাথে কথা বললে উনি বলেন আমি ওদের সতর্ক করে দিয়েছি এই ভাবে বালু উওোলব করা যাবেনা।তার যদি আমার কথা না শোনে তাহলে আমি প্রশাসনের সহযোগিতা নিবো।
উপজেলা প্রশাসন নির্বাহি অফিসার মোঃ রেজাউল করিম নবযুগ পত্রিকাকে জানান, ওখানে এর আগেও অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আবার ওখানে অভিযান চালিয়েও অবৈধ বালু কাটা বন্ধ করা হবে। বাঁধে আরসিসি ঢালাই দিয়ে একবারে বেঁধে দেওয়া হবে।