নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতিটা মানুষই ভালো থাকুক, সেহরি-ইফতারের সুযোগ পাক এই রমজানে। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কাজ করেন অনেকে, অনেক সংগঠন। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে রহমত, বরকত ও নাজাতের মাস মাহে রমজান। প্রথম রমজানের সেহরির পূর্বে রাজধানী জুড়ে দেখা গেছে খাবার হাতে দ্বিকবিদিক ছুটছে একদল তরুণ। ছুটে বেড়াচ্ছে ফুটপাতের ঘুমন্ত মানুষের দ্বারেদ্বারে। আবার ইফতারেও দেখা মেলে একই চিত্র। একদল তরুণ স্বেচ্ছাসেবী ছুটছে দ্বিকবিদিক।
কথা বলে জানা যায়, তারা গো আপ ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী। এই সংগঠনটি রমজানকে ঘিরে উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকাসহ বাংলাদেশের অন্যান্য জেলায় প্রতিদিন শতাধিকেরও বেশি মানুষকে সেহেরি এবং দুই শতাধিক মানুষকে ইফতার বিতরণ করবে।
একজন সেচ্ছাসেবী জানায়, এই মাসে আমরা পরম করুনাময় মহান রব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি অর্জন করার লক্ষ্যে সুবেহ সাদিক থেকে সূযার্স্ত পর্যন্ত সিয়াম সাধনা করে থাকি, এবং নানান স্বাদের ভোজন ও রকমারি ফল-ফলাদি দিয়ে পরিবার-পরিজনের সাথে ইফতার করে থাকি। কিন্তু কখনো কি আমরা ভেবে দেখেছি সমাজের দিনমজুর, রিকশাচালক, পথশিশুদের মিতো অসহায় মানুষদের কথা। যাদের কাছে পানিই হয়তো সবচেয়ে সুস্বাদু ইফতারি। আর তাই পুরো রমজান মাস জুড়ে গো আপ ফাউন্ডেশন “রামাদান আপ্যায়ন” প্রায় ১০ হাজার মানুষকে ইফতার এবং সেহেরি করানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রথম রোজায় শাহবাগ কোর্টের সামনে ১২০ জনেরও অধিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে মধ্যরাতে সেহরী প্রদান ও পুরান ঢাকার সদরঘাট, ইসলামপুর, ওয়াজঘাট এইসকল এলাকায় ১৫০ জনেরও অধিক দরিদ্র মানুষ ও শিশুদের ইফতারী বিতরন করে গো আপ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা। উল্লেখ্য, স্বেচ্ছাসেবীদের প্রত্যেকেই শিক্ষার্থী।
আরেকজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, রাসুল সাঃ বলেছেন- “রমজান মাসে যে ব্যাক্তি একজন রোজাদারকে ইফতার করায় সে ওই ব্যাক্তির সম্পুর্ণ রোজার সাওয়াব পায়। তাতে রোজাদারের সাওয়াকে কোনো ঘাটতি হয়না।”
এছাড়াও গো আপ ফাউন্ডেশন আরো কাজ করছে পথশিশু, অসচেতন নারী, প্রতিবন্ধী, এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে। সমাজের অসহায়, দুঃস্থ মানুষদের সাবলম্বী করার জন্য “প্রজেক্ট স্বাধীনতা” গো আপ ফাউন্ডেশনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
গো আপ ফাউন্ডেশনের মূল উদ্দেশ্য যেকোনো উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এগিয়ে আসা। সমাজের ছিন্নমূল মানুষ বিশেষত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের “আমাদের ইসকুল” প্রজেক্টের মাধ্যমে মূলধারায় যুক্ত করা।