মোঃ সাজিদ হাসানঃ–
জলবায়ু সংক্রান্ত নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে যুবদের সম্পৃক্ত করাই জলবায়ু সুবিচার, ন্যায় সম্মত ও জন কল্যণমূলক বিশ্ব নিশ্চিত করতে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানবাধিকার ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। পরিবেশ ও শ্রমজীবি মানুষ বিশেষ করে যুবরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। জলবায়ূ পরিবর্তনের প্রভাব থেকে এই বিশ্বকে মুক্ত করতে হলে তাই জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সকল নীতিগত সিদ্ধান্তে যুবদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী দেশসমূহ ও কোম্পানীগুলো মানুষের জীবন, জীবিকা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ অপেক্ষা মুনাফাকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। যেকারণে জলবায়ূ পরিবর্তণ রোধের সিদ্ধান্ত প্রনয়নে কোন দেশ কপ ২৬ এর মত সম্মেলনে একমত হতে পারেনি। বিশ্ব নেতাদের নিরাবতা সারা পৃথিবী দেখেছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত IPCC রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, জলবায়ূ পরিবর্তন এত দ্রুত গতিতে হচ্ছে যে, বৈশ্বিক তাপমাত্রাকে শুধু ১.৫ ডিগ্রির নীচে রাখা নয়, আমাদেরকে আরো এমন কিছু দ্রুত কিন্তু টেকসই পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে করে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতির মাত্রা হ্রাস করতে পারি। এজন্য সকল দেশকে একযোগে কাজ করতে হবে।
Young People for Climate Action Now এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে আজ সকাল ১১ টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একশনএইড বাংলাদেশের আয়োজনে একটি মানববন্ধন করা হয়।
এই মানববন্ধনে যুক্ত হয় একশনএইড সহ আরো ১৯ টি সংগঠন যারা জলবায়ু নিয়ে ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশে কাজ করে। প্রায় ৫০০ জন শিক্ষার্থী দের নিয়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সংগঠনের নেতারা বিশ্ব নেতাদের কাছে কিছু দাবি তুলে ধরেছেন-
বিশ্ব নেতাদের কাছে যে সকল দাবি তুলে ধরেছেন তা এই যে,
-এখনই যুবদেরকে জলবায়ু সম্পর্কিত নীতি প্রণয়নে সম্পৃক্ত করতে হবে।
- জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর যুবদের শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের বেকারত্ব দূর করতে সহায়তা প্রদান করতে হবে এবং যুবদের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
-বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রীর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
- যত শীঘ্রই সম্ভব কয়লা ও জ্বালানী তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ করে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। নতুন কোন কয়লা বিদ্যুৎভিত্তিক প্রকল্প হাতে নেওয়া যাবে না।
- অতিরিক্ত কার্বণ উৎপন্নকারী কোম্পানী ও দেশগুলোর উপর উচ্চ মাত্রায় কর আরোপ করতে হবে এবং ঐ সকল ট্যাক্সের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে অতিমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর অভিযোজন ও প্রশমন কাজে ব্যয় করতে হবে।
একশনএইড বাংলাদেশ, ব্রাইটারস সোসাইটি, ফাইডেস ফর ফিউচার বাংলাদেশ, আজকের যুব প্রজন্ম বাংলাদেশ, এই সংগঠনের নেতারা আরও বক্তব্য রাখেন যে, যুব সমাজ আজ জলবায়ুতে অনেক পিছয়ে আছে, যুব সমাজ কে কাজে লাগিয়ে জলয়বায়ু পরিবর্তন আসতে পারে বলে তারা মনে করেন,
তাছাড়াও তারা মনে করে এই খাতে যে সংগঠন গুলো কাজ করে তাদের কে অর্থনেতিক ভাবে সাহায্য করা, সংগঠনের নেতারা বলেন যে স্কুল পর্যায় থেকে জয়বায়ু বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তভুক্ত করতে হবে, যাতে আমাদের পরের প্রজন্ম কে আমরা জানাতে পারি জলবায়ুর বিষয়ে।
উক্ত স্ট্রাইকটিতে একশনএইড বাংলাদেশের ন্যাশনাল এক্টিভিস্টা সহ বাংলাদেশের অন্যন্যা সদস্যসহ বিভিন্ন সংগঠনের তরুণরা অংশগ্রহণ করেন।
নব/সাজি/২