ইট পাথরের মেলা গাদাগাদি মেঘাসিটি দম ফেলা যায়না,
সবুজের সমারোহে মিল্লাত টঙ্গী , পাখি সব আয় ছুটে আয়না।
হাজারো পাখির গানে মুখরিত ক্যাম্পাস
মন নাচে সবুজের বিছানায়,
রাত দিন সারা ক্ষণ ভ্রমরের গুণ গুণ
যেন মন মোহিনী আলো ছায়ায়।
যন্ত্রের গুঞ্জনে কান মন ঝালাপালা
কোথাও যে নাই কোন নিস্তার,
হদয়ের ক্যাম্সাস শান্তির নীড় যেন
সবুজের মাঠ এক বিস্তর।
এখানে পুকুর পাড়ে পারিজাত পাখিরা
আড্ডা জমায় দেখ রাতদিন,
হাঁসগুলো করে খেলা ডুব সাঁতারের ছলে, পাখির মালিক তাই ঘুমহীন।
দেখ, হাজারো পাখির মেলা জমে এই ক্যাম্পাসে, সময় হলে তা ভেঙ্গে যায়,
সবাই আসে হেথা আহারের টানে উড়ে
আহার শেষে তাই ফিরে যায়।
নাম জানা থাকে কারো, কারো নাম ভুলে যাই হয়তো,
পাখি পালন করে সময় কাটাই মোরা পাখিদের স্মৃতি বুকে রয়তো।
এই স্বপ্নের ক্যাম্পাস ঝিমিয়ে আছে গত ছয় মাস,
পাখিদের কোলাহল নেই সে আগের মতো, নেই তাই সেথা কোন হাঁসফাঁস।
কেটে গেল সেশন এক আমরা বেকার সবি, শুধুই সময় গুণি কাজ নেই,
দুনিয়া অচল তবু ছুটছে সবাই কোথা
করোনার তাড়াতে জানা নেই।
প্রতিদিন আলো আসে চাঁদ হাসে তবু যেন জগৎটা অন্ধ,
পাখিদের কলোরল থেমে আছে আজো তাই, নীড়ের দরজাগুলো বন্ধ।
আবার ফিরে আয় কাছে ও দূরের মত পাখিরা,
মুখরিত করে তোল প্রানের এই বাগিচায় পারিজা।
যুগ যুগ টিকে থাক প্রিয় এই বাগানের সুধা, ফুল।
ছড়িয়ে পড়ুক তার সুবাস ও সুনাম দুনিয়া কুল।
খোদার কাছে সবে পাতো হাত এক সাথ দুআ কর।
মুক্তি মিশন যেন চলে সেথা আজীবন পন করে সবে সেই পথ ধর।