শাবিব মুহাম্মদ শরিয়ত উল্লাহ:
স্বাধীনতার জন্য সেদিন যুদ্ধ হলো দেশে,
যুদ্ধ করে আমরা স্বাধীন হলাম অবশেষে।
প্রাণ দিয়েছে লাখো মানুষ এ দেশেরই জন্য,
এ দেশ প্রিয় মাতৃভূমি নয় বিক্রির পণ্য।
শহিদেরই রক্তে বুকের পথ হয়েছে লাল,
স্মৃতি গুলো অতীত হলেও রবে চিরকাল।
স্বাধীনতা পেলাম ফিরে যুদ্ধ হলো শেষ,
মুক্ত আজো হয়নি মাগো নামটাই বাংলাদেশ।
স্বাধীনতা তোমার আমার মুখের চেতনার বুলি,
মনের সুখে ছবি আঁকার রঙ পেন্সিল তুলি।
স্বাধীনতা তোমার আমার কাব্য গাঁথা গান,
মাটির প্রতি চিরন্তন এক ভালোবাসার টান।
স্বাধীনতা তোমার আমার রক্তে কেনা দেশ,
রক্ত দেয়ার এই চেতনা হবেনা নিঃশেষ।
তোমার জন্য হাজার বছর প্রহর গুনেছি,
বুকে দুঃখকষ্ট নিয়ে নির্ঘুম রাত্রি জেগেছি।
পায়ে কাটা বিঁধিয়ে মাড়িয়েছি কন্টক পথ,
তিরিশ লক্ষ জীবন দিয়েছি তবু রুখেছি রঘুরথ।
বুকের তাজা রক্ত দিয়ে যারা দেশ করলো স্বাধীন,
তোমরা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান ভুলবো না কোনদিন।
ছেলে-মেয়ে মাতা-পিতা সব ত্যাগ করে,
নিজের প্রাণ বিলিয়ে দিলে এদেশের মায়ার তরে।
এ বাংলায় রবী-শশী যতদিন উদিত হবে,
তোমাদের করবে স্মরণ এ বাংলার সবে।
বিজয়ের হাসি মুখে নিয়ে দেশ কে মুক্ত করে,
তোমরাই পেরেছো জীবন বিলাতে এদেশ মাটির তরে।
হেরে যাওয়ার ভয় কভু কাবু করেনি তোমাদেরে,
বুলেটে বুক ঝাঁঝরা হলেও মুখ খোলোনি, পিঞ্জর গিয়েছে ছিরে।
এক টুকরো মাটি হবে বলে ত্যাগ করেছো সবি,
রক্তগঙ্গায় ভাসিয়েছো দেহ, লাশ হয়েছো কবি।
এ আকাশ বাতাস আজো কাঁদে স্বাধীনতার লাগি,
মুক্তিযোদ্ধারা ফিরছে দেখো হয়ে গেছে বৈরাগী।
কবে পাবো অধিকার আর মুক্ত স্বাধীনতা,
কারাগার ভাঙবে কবে নির্যাতিত জনতা?
রয়ে যাবে তবে কি নিখোজ আমাদের স্বাধীনতা?
তারুণ্য যবে হুংকার ছুড়বে ছিঁড়বে নির্লিপ্ততা!