নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানী ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে গো আপ ফাউন্ডেশনের ‘আমাদের ইশকুল’ এর শুভসূচনা হয়েছে গত ২২-০২-২২ তারিখ। প্রায় ৫০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে “আমাদের ইশকুলে’র” উদ্বোধন ও যাত্রা শুরু হয়।
মঙ্গলবার বিকেল ৩.৩০ মিনিটে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শপথ বাক্য পাঠ করানোর মধ্য দিয়ে ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবীর পরিশ্রমে শিশুদের নিয়ে কেক কাটার মাধ্যমে শুরু হয় এর উদ্বোধনী কাজ এবং ৫.৩০ মিনিটে শিশুদের মাঝে খাদ্য প্রদানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এর আয়োজন।
গো আপ ফাউন্ডেশন মূলত এসডিজি তথা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ১,৪ ও ১৬ বাস্তবায়নে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে পাঠদান ও একইসাথে খাদ্য প্রদানপূর্বক অস্থায়ী স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছে।
এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত টেক ইউটিবার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর Sohag360 সোহাগ মিয়া। আমদের বিদ্যানিকেতনের সভাপতি আয়েশা তাহিরা, সহ-সভাপতি সোহেল, নবযুগের সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক সুজন ও অভয়ারণ্যের সভাপতি ইশতিয়াক ফেরদৌস ইমন।
উল্লেখ্য; পূর্বে ধানমন্ডি রবীন্দ্রসরোবরে প্রায় ২৭জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের দীর্ঘদিন যাবত পাঠদান কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি, একইসাথে শ্যামনগর এলাকাতেও ৩০ জন শিশুকে বিনামূল্যে পাঠদান ও খাদ্য প্রদান করে আসছে গো আপ ফাউন্ডেশন।
একজন স্বেচ্ছাসেবী জানান, এই সংগঠনটি বিশ্বাস করে শিশুদের ন্যায় পথশিশুদেরও সমান সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বড় হওয়ার অধিকার আছে। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা এই মৌলিক চাহিদাগুলো যথোপযুক্তভাবে পাওয়ার অধিকার তাদেরও আছে। “আমাদের ইসকুল” প্রজেক্টের পিছনে বাস্তবায়নের পিছনে মূল উদ্দেশ্য হলো পাঠদান ও খাদ্য প্রদানের পাশাপাশি বাহাদুরশাহ পার্ক এলাকায় মাদকাসক্ত শিশুদের মূলধারায় তথা সুস্থ জীবনযাপনে ফিরিয়ে আনা ও তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রদানেরসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করা।
উইকিপিডিয়া তথ্যানুসারে, পথশিশুরা স্কুলে যায় না; বরং এর পরিবর্তে রাস্তাঘাটে বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করে বা অন্য কাজ করে। এর কারণ তাদের বাবা-মা কাজ করতে অক্ষম বা তাদের উপার্জন অতি সামান্য, যা তাদের পরিবারের ভরণপোষণের জন্য যথেষ্ট নয়। ধারণা করা হয় যে বাংলাদেশে ৬,০০,০০০-এর বেশি পথশিশু বসবাস করছে এবং এদের ৭৫% ই রাজধানী ঢাকায় বসবাস করে। মানব উন্নয়ন সূচকে ১৩৮তম স্থানে থাকা একটি দেশ, যেখানে জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে সেখানে এই শিশুরা সামাজিক স্তরগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরের প্রতিনিধিত্ব করে। দেশের জনসংখ্যা এখন বেড়েছে, আর রাস্তার শিশুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ৪০,০০,০০০ জনে।