প্রথমেই বলি আমি জোনাকির সঙ্গে কেন তাঁর উপমা দিলাম। জোনাকি হলো এমন একটি প্রাণী যে অন্যের জ্বালানো আলোর দিকে ঝোঁকে না বরং অন্ধকারে আলো জ্বালানোই তাঁর নেশা। ঠিক তেমনি মির্জা আজম এমন একজন মানুষ এবং নেতা, যে অন্ধকার দেখলে নিজে আলোর দিকে না ছুটে বরং নিজের আলোতে চারিদিক টা আলোকিত করে দেন।
এবার আসল কথায় আসা যাক, সময় টা ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী বিডিআর বিদ্রোহের কারণে যখন চারিদিকে ঘোর অন্ধকার নেমে এসেছে ঠিক তখনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আলোর মশাল জ্বালিয়ে এগিয়ে এলেন মির্জা আজম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক দেশে শান্তি ফেরানোর জন্য। আলোচনার মাধ্যমে বিদ্রোহ দমন করে দেশে শান্তি ফেরালেন।
শুধু তাই নয় বৈশ্বিক মহামারির কারণে যখন বিশ্বনেতারা হোম কোয়ারেন্টাইনে এবং দেশীয় নেতারাও সবাই ঘরবন্দী তখন ঠিক জোনাকির মতো আলোর প্রদীপ হাতে জনগণের পাশে মির্জা আজম এমপি। নিজ হাতে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে চলে গেলেন দুস্থ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে।নিজস্ব তহবিল থেকে ডাক্তারদের কাছে পৌঁছে দিলেন মানসম্মত ‘পিপিই’ করোনা। যুদ্ধে জয়ী হয়ে যাঁরা ঘরে ফিরেছে তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন।
করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের জন্য বুথ উদ্বোধন করতে নিজে যান মির্জা আজম এমপি। শুধু তাই নয় করোনার কারণে যখন বহিরাগত শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে পারছিল না কৃষকেরা। ঠিক তখনই হারভেস্টার মেশিন নিয়ে কৃষকদের মাঝে হাজির মির্জা আজম এমপি। যেন কৃষকেরা তাদের কষ্টার্জিত ফসল নিশ্চিন্তে ঘরে তুলতে পারে।
তবুও যদি জোনাকির সাথে তুলনা করতে দ্বিধা থাকে তাহলে বলি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্লোগান হলো শিক্ষাই আলো।
সুতরাং শিক্ষার আলো নিয়ে কথা বলা যাক। জামালপুর এমন একটি জেলা যেটা এক সময় বাংলাদেশে শিক্ষার সর্বনিম্ন হারের দিকে দ্বিতীয় তম ছিল কিন্তু মির্জা আজম এমপির একক প্রচেষ্টায় জামালপুর আজ শিক্ষার দিক দিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ। জামালপুরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা দেওয়া হলো।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়- ১টি,
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় – ১টি,
সরকারি মেডিকেল কলেজ – ১টি,
সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল – ১টি
সরকারি টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং কলেজ – ১টি
সরকারি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট – ১টি
সরকারি পল্লী উন্নয়ন একাডেমি – ১টি
সরকারি ইন্সটিটিউট অব হেল্থ টেকনোলজি -১টি
সরকারী কলেজ – ৮টি,
বেসরকারী কলেজ – ২০টি,
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় – ৭টি,
বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় – ২২৪টি,
মাদ্রাসা-১১০টি,
জুনিয়র হাইস্কুল – ৩৮টি,
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় – ৫৮৮টি,
বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় – ৩৯০,
কিন্ডার গার্টেন স্কুল – ১৭৬টি
আইন কলেজ – ১টি,
হোমিওপ্যাথি কলেজ – ১টি,
কৃষি গবেষণা কেন্দ্র – ১টি,
কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র-২টি,
কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজ-২টি।
এর পরও যদি কারও ভিন্নমত থাকে তাহলে বলবো হয়তো আপনার মির্জা আজম ও জোনাকির আলো সম্পর্কে ভালো করে পড়াশোনা করুন।
মোঃ বেলাল হোসাইন
সমাজকর্ম (২য় বর্ষ)
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর।