প্রলয়!
"প্রবাহমান বিবি শিখাময় এই জগতে
প্রলয়ের যেনো প্রতিক্ষা!
অতীত থেকে চলমান সভ্যতার পাক কিছু প্রতিবাদী বিবেকের বর্তমানের অগ্রযাত্রা!
তবে লক্ষ্য সকলের এক ভবিষ্যতের গন্তব্য! কিন্তু কত সভ্য পারে সভ্যতার ফাঁদ পেড়তে।
পরিবর্তন থেকে শুরু মানুষের জীবন।
জীবনের জন্য প্রয়োজন পরিবর্তন।
পরিবর্তন দিতে পারে জীবনের পূর্ণতা৷
তিক্ত জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আসে পরিবর্তন। কিন্তু এ কোন পরিবর্তন সর্বত্র বিরাজমান?
আমাদের জিবন ছন্দের স্রোত নানা বাঁধা এসে থাকে, এই বাঁধা একজন পুরুষের শিরদাঁড়া শক্ত করে, তেমনি একজন নারীর জীবন সংগ্রামের চলার পথে এক একটি বাঁধা- প্রতিবন্ধকতা অতিক্রমই যেনো তার বেঁচে থাকার আত্মবিশ্বাস জোগায়।
এমন বাঁধা পেরিয়েই পরিবর্তনে জোয়ার আমাদের কে সভ্যতার চরম শিকড়ে নিয়ে এসেছে। তাহলে পরিবর্তন কি আমাদের আরো সভ্য করে তুলবে!নাকি আমরা সভ্যতার চক্করে মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলছি!
আমরা সভ্য হয়েছি, তাই আমরা কথা বলি!
কথা বলি ইতিবাচক -নেতিবাচক, ন্যায়-অন্যায়, সকল কিছু নিয়ে কিন্তু সভ্যতার চক্করে মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলছি আগেই বলেছি।আমরা এখন যা কথা বলি, দিনশেষে ঐ কথাগুলো শেষে জুড়েছি
” আমরা এমনই”,
“কিছু হবে নাহ আমাদের”,
“ঐ সব কিছু ইতিহাসে মানায়”,
“”এরা জীবনেও মানুষ হবে নাহ””,
ইত্যাদি,
এগুলো বলারই হলে,ঐ চায়ের কাপে সমালোচনার ঝড়ে তোলা নেহাতি মূল্য হীন। আমাদের পরিবর্তন এসেছে, কিন্তু সভ্য হওয়ার এ পরিবর্তনের ফলে সমাজবাদী হয়ে আমরা মিডিয়া জগতে নিজেদের ভালোই সভ্য জাতির পরিচয় দিচ্ছি, ঐ কাজ গুলা নিজের বেলায় খাটতে বাঁধা নেই, বেরিয়ে আসে সভ্য মুখোশ এর পিছনের মুখোশ!
“পশুর গর্ভে জন্মিলে পশু হয়, কিন্তু মাতৃগর্ভে মানুষ জন্ম নিলে সে মানুষ হয় নাহ”, তাকে মানুষ হতে হয়। কথাটি যথেষ্ট ভিত্তিক!
অতীত থেকে এই সভ্যতার গোলকধাঁধা চলছে, এই গোলকধাঁধায় অধিকাংশ তার জাতি, সত্তা, সভ্যতা, সংস্কৃতি, ধর্ম হারিয়েছে৷
কিছু এর ব্যতিক্রমধর্মী ও আছে, যারা এই গোলোক ধাঁধা হোঁচট খায়নি, তাদের নাম -কাজ পড়ে আমাদের উল্টো এখন সভ্য হয়ে উঠার চর্চা করছি।
সবচেয়ে মূল্যবান বিষয় হলো বর্তমান! এই বর্তমান সকল সময় নির্ণয় করে আমাদের অতীত কি হতে চলেছে!আর ভবিষ্যৎ কি হবে!
তাই সভ্যতার প্রাচীরে আবদ্ধ নাহ থেকে নিজেদের বাকঁ শক্তি সাথে বিবেকের তাড়না প্রবাহমান রাখা উচিত! কারণ “বিবেক হীন মানুষ পশুর সমান “, আমাদের সকলের যদি অন্তরচক্ষু কে খুলে দেই, কথায় নাহ থেকে,নিজে বিবেকের তাড়নায় নিজেকেই বিরত রাখতে পারি তাহলে একবার চিন্তা করুন? বর্তমানের অগ্রযাত্রায় নারী-পুরুষের সমতার কোনো বৈষম্য থাকবে নাহ! থাকবেনা অতীত এর লেগে থাকা কলঙ্ক! চিরস্থায়ী করতে পারবে ভবিষ্যতে গন্তব্য কে।
মুলত যে বিষয় টি দিকে ইঙ্গিত করছি আমাদের বাস্তবতারথেকে, জীবনের প্রতিটি প্রতিবন্ধকতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের ভেতরের লালিত সত্তার অস্তিত্বের আমুল পরিবর্তন করতে হবে। আর তা নাহ হলে আমারা আবার সভ্যতার চক্করে পা দিতে চলেছি এবং একই গোলকধাঁধায় সব বিনাশ করতে চলেছি নিজের অজান্তেই।
ফাহিম আলম