অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাছে বাংলাদেশ।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় লাভজনক ও বাণিজ্যিকীকরণের অগ্রযাত্রায় কৃষি। লাগসই প্রযুক্তি ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ব্যবস্থা ও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার এক্ষেত্রে এনে দিতে পারে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত।
বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে কৃষি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন কৃষিজ প্রতিষ্ঠান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি তথ্য সার্ভিস, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষির উন্নয়নে অনেক দূর এগিয়েছে।
কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের কোনো বিকল্প নেই। ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যার পর কৃষি যন্ত্রপাতির ওপর আরোপিত শর্তগুলো শিথিল করলে দেশে পাওয়ার টিলার আমদানি বেড়ে যায়। এভাবে দেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের সূত্রপাত হয়। আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে কৃষি ব্যবস্থা। বীজতলা থেকে উৎপাদন পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে রয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার। আমাদের দেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের প্রধান অন্তরায় প্রান্তিক কৃষকের কৃষিযন্ত্র ব্যবহারের অনুপযোগী ছোট কৃষিজমি, যেখানে মানসম্মত কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা যায় না।
দেশের প্রান্তিক কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবেও অসচ্ছল। তাদের উচ্চমূল্যে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের সামর্থ্য নেই। এছাড়া ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে রয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতা। এরই ধারাবাহিকতায় কৃষির আধুনিকায়নে সরকার নানা ধরনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সম্প্রতি সরকার ৩০২০ কোটি (৩০.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) টাকার একটি মেগাপ্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে প্রায় ৫৬ হাজার কৃষি যন্ত্রপাতি হস্তান্তর করার উদ্যোগ নিয়েছে, যা ২০২০ সালেই শুরু । বিশ্বের অনেক উন্নত রাষ্ট্রে এখন আধুনিক কৃষি ও খামার ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। মোঃ সাইফুল আলম, বিসিএস কৃষি ২৮ তম, রিজিওনাল ট্রেনিং কো-অডিনেটর, উপজেলা প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ (৩য়) প্রকল্প,রংপুর অঞ্চলে নিয়োজিত রয়েছেন। কৃষিসম্প্রসারণে মোঃ সাইফুল আলম অনন্য অবদান রেখে চলেছেন।
তার মতে,কৃষি খাতে অনেকগুলো ইতিবাচক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে, যার মধ্যে উচ্চফলনশীল প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার, সেচ ব্যবস্থার আওতায় আসায় দেশের অধিকাংশ জমিতে বোরো চাষের সম্প্রসারণ, কৃষি খাতে যথাযথ ভর্তুকি প্রদান, কৃষিঋণ পদ্ধতির সহজীকরণ, ফসলের বহুধাকরণ, কৃষির লাগসই যান্ত্রিকীকরণ, উচ্চফলনশীল ফসল, তরিতরকারি, মাছ, হাঁস-মুরগি ও ফলমূল চাষের ব্যাপক প্রচলন, আধুনিক রাসায়নিক সার, বীজ ও কীটনাশকের সহজলভ্যতা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।