তরুণ-তরুণী আমাদের দেশের সম্পদ। তবে অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ-তরুণী চাকরি নামক সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে গিয়ে বেকারের খাতায় নাম লেখান। তারা সম্পদে রূপান্তর না হয়ে দেশের বোঝা হয়ে যান। এমন সংকটে উঠতি বয়সের
তরুণী জান্নাতুল শিফা সাফল্যের অগ্রযাত্রার সহযাত্রী। তরুণী উদ্যোক্তা জান্নাতুল শিফা পেশায় এইচএসসি পাশ করা শিক্ষার্থী । তিনি Shifa glossy collection( ফাউন্ডার) ও Ealaxy গ্রুপ ও কোম্পানির প্রধান এস আর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আমাদের বাংলাদেশের নারীর উদ্যোক্তা হওয়া সহজতর কোনো বিষয় নাহ, সম্মুখীন হয়ে হয় নানা ধরনের সমস্যা ও প্রতিকূলতার! পরিবার, সমাজ, সাংসারিক ব্যস্ততায় সকল প্রতিকূলত উপেক্ষা করে উদ্যোগতা হয়ে উঠা যেনো স্বপ্ন মাত্র!
তেমনি তরুণী উদ্যোক্তা জান্নাতুল শিফা সকল সমস্যা, বাঁধা, প্রতিকূলতা কাটিয়ে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে সাফল্য অর্জন করেছে।
যেভাবে শুরুঃ চুয়াডাঙ্গা অস্থায়ী বসবাস জান্নাতুল শিফার, যখন তার পিতার ট্রান্সফার এর কারণে ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গা আসেন। তখন অচেনা জায়গায় মানিয়ে নিতে তাদের সবারই কষ্ট হচ্ছিল।
পরবর্তীতে তিনি এখানে থ্রি পিস, জামা, কসমেটিক বিক্রির বড় সম্ভাবনা দেখতে পান এখানে। সেই সূত্র কিছু কিছু পেজ, বা পাইকার থেকে সল্প সল্প মালমাল কিনে এনে, বিক্রির চেষ্টা করেন। কিন্তু বিক্রি জগতে বা ব্যবসায় সাফল্য পাচ্ছিলেন নাহ।
পরবর্তী সন্ধান পান কিছু সুনাম ধন্য ফেসবুক গ্রুপগুলো। তার মধ্যে অন্যতম হলো “চুয়াডাঙ্গা অনলাইন মার্কেট”ও”চুয়াডাঙ্গা বিজনেস নেটওয়ার্ক”
অক্লান্ত পরিশ্রম মাধ্যমে পরিশ্রম এর মধ্যে দিয়ে নিজের পরিচয় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাড়া করান।
এবং সুনাম ও ভালোবাসা অর্জন করেন চুয়াডাঙ্গা বাসির।
সরজমিন এ তার সাথে কথা বললে তিনি জানান,
উদ্যোক্তা বা বড় মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করেন চুয়াডাঙ্গা আসার পর থেকেই! বাবার অক্লান্ত পরিশ্রম দেখে! বাবার পাশে ইস্পাত দৃঢ় শিরদাঁড়া হয়ে দাড়ানো দৃঢ় সংকল্প স্বপ্ন দেখতে থাকেন। পরিকল্পনা ও ধর্য্য এবং অধ্যবসায় তার সাফল্যের চাবিকাঠি। আরো বলেন তিনি সফলতা সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠতে চান, এবং মফস্বল এর নারীরা ও পারে এটি পৃথিবীর কে দেখাতে চান।