জোবাইদা ইয়াছমিন: পঁচিশ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস ২০২২ উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রামের আয়োজনে নাটক ‘মুক্তিযুদ্ধ ও এক দম্পতির গল্প’ মঞ্চায়ন হয় অনিরূদ্ধ মুক্তমঞ্চে৷ নাটকটি জেলা শিল্পকলা একাডেমি নাট্যকলা বিভাগের পরিবেশনা, রচনা ও নির্দেশনা : জোবায়দুর রশীদ৷ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছে বিজন চৌধুরী, জোবাইদা ইয়াছমিন, নবকৃষ্ণ রুদ্র, হিমেল আজিজ, মোঃ ফরহাদ শাহরুখ, সৌহার্দ্য বড়ুয়া, সত্যজিৎ নন্দী, অবিনাশ রায় ও আজনাইল ইমতিয়াজ রিয়াদ৷
আবহ পরিকল্পনা করেছেন মাঈনুদ্দিন কোহেল, সেট ডিজাইন করেছেন মুরাদ হাসান, কষ্টিউম ডিজাইন : বীনা চৌধুরী, মিউজিক অপারেট: আকিবুল ইসলাম
এ নাটকের কাহিনী বিস্তৃত হয়েছে ১৯৭১ সনের ২৫শে মার্চ রাতে যে হত্যা ও রক্তের বন্যা ভরে গিয়েছিল ঢাকায়, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ হল ঢাকা শহরে রাতের অন্ধকারে যে হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছিল পাকিস্তান সেনা বাহিনী ৷ তারপর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়, একদল মানুষ গ্রামে ও ভারতে আশ্রয় নিয়ে যুদ্ধ শুরু করে৷ আর অন্যদিকে- এক দল মানুষ কাটিয়েছে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের মতো জ্বালাময় নয়মাসের কষ্টকর বন্দী জীবনে- যা নরকতুল্য, রক্তাপ্লুত, দুঃস্বপ্নময়, কাটা তার ঘেরা বুলেট বিদ্ধ, বুলেট দীর্ণ সংগ্রাম জাগর সেই নয় মাস৷
এ নাটকের কাহিনী এক তরুণ দম্পতি কে নিয়ে, একজন শাওন মাহমুদ আর একজন তার স্ত্রী জেবা ইসলাম ৷ এ নাটকে তারা প্রতিনিধিত্ব করছে ১৯৭১ সনের রক্তঝরা দিনের উৎকন্ঠিত মানুষের ৷ তারা ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে, এ নাটকে পুরুষ চরিত্র শাওন মাহমুদকে গুলি করে মেরে ফেলে পান্জাবী মিলিটারী, তার স্ত্রী জেবা ধর্ষিত হয়৷ স্বাধীন বাংলা বেতারের অনুষ্ঠান, ঢাকা ক্রাক প্লাটুন তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের ঢাকা এটাক, রাজাকার আলবদরের ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে৷
এ নাটকে বেশ কিছু তাৎপর্যপূর্ণ ও ইতিহাস নির্ভর তথ্য ও কবিতা ধারাবর্ণনা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে৷ এখানে দুটো চরিত্রই প্রধান, পাশাপাশি রাজাকার আজম মিয়া, ৪জন তরুণ মুক্তিযোদ্ধা ও পান্জাবী মেজর ও সিপাহি ব্যবহৃত হয়েছে৷ দুজন বর্ণনাকারি পুরো নাটকেই গল্পর সুতো বুনে গেছেন৷ এ নাটকে যারা কাজ করেছে তারা সবাই শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রামের চার বছর মেয়াদি কোর্স এর নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী৷