বাকৃবি প্রতিনিধি
বিসিএস লাইভস্টক ক্যাডারে প্রাণির উৎপাদন সংক্রান্ত পদগুলোতে ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েটদের নিয়োগ না দিয়ে ওই পদগুলোতে শুধুমাত্র পশুপালন অনুষদের গ্রাজুয়েটদের নিয়োগ প্রদানের জন্য মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ কৃষি
বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের সামনে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে পশুপালন অনুষদের সামনে থেকে মানববন্ধনকারী শিক্ষার্থীদের একটি র্যালি বের করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘বিসিএস নিয়োগের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ লাইভস্টক ক্যাডারের উৎপাদন সংক্রান্ত পদসমূহে ভেটেরিনারি অনুষদ থেকে পাশ করা
ডিভিএম ডিগ্রিধারীরা নিয়োগ পেলে তাদের জ্ঞানের সফল ব্যবহার নিশ্চিত হবে না। বরং ভেটেরিনারিয়ানদের শুধুমাত্র নির্ধারিত পদ সমূহে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। বাস্তবতা ও তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এবং দেশের বৃহত্তর জনস্বার্থে বিসিএস লাইভস্টক ক্যাডারে প্রাণির উৎপাদন সংক্রান্ত পদসমূহে শুধুমাত্র পশুপালন
গ্রাজুয়েটদের নিয়োগ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নিকট বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনে পশুপুষ্টি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহি উদ্দিন বলেন, ‘ডিজিটাল যুগে আমাদের কোর্স প্রাণিজ উৎপাদনের সাথে মানানসই। অন্যান্য গ্রাজুয়েটরা আমাদের সেক্টরে আসবে কিন্তু যারা ৬০শতাংশ প্রাণির উৎপাদন নিয়ে পড়াশোনা করে তারা তাদের সেক্টরে চাকরির সুযোগ পাবে না, এটা
অযৌক্তিক। সরকারের কাছে আমার দাবি যেন আগামী বিসিএসের আগেই বিষয়টি সংশোধন করা হয়।’
মানববন্ধনে পশুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, পশুপালন
অনুষদের শিক্ষার্থীরা ৭০ শতাংশের বেশি পড়াশোনা করে প্রাণিজ উৎপাদন নিয়ে।
যেখানে ভেটেরিনারি-পশুপালন সমন্বিত ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পড়শোনা করে। কাজেই তাদের পক্ষে গবেষণা করা দেশের লাইভস্টক সেক্টরে ভূমিকা রাখা সম্ভব নয়। পশুপালন এসোসিয়েশন এবং ফেডারেশনের পক্ষে দাবি জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন সুষ্ঠু পদক্ষেপ নেয় তা আশা করি। ছাত্রদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি।