জোবাইদা ইয়াছমিনঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফারসি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে ‘আর্থিক লেনদেন’ নিয়ে ফোনালাপের অডিও প্রকাশ হওয়ার পর অভিযোগের মুখে থাকা দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বুধবার জানান, শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত ফোনালাপ ফাঁসের বিষয়ে তদন্ত করতে উপাচার্যের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (ডেপুটি রেজিস্ট্রার) খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীন ও হিসাব নিয়ামক শাখার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আহমদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি অডিও ফাসের প্রসঙ্গে বলেন, শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত যে ফোনালাপটি সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে সেটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত করছেন।
সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করতে ওই দুইজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কারাদেশ বুধবার থেকে কার্যকর হবে।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রত্যাশী দুই ব্যক্তির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীর আর্থিক লেনদেন নিয়ে আলাপের দুটি অডিও সম্প্রতি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী (ডেপুটি রেজিস্ট্রার) খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীন ও হিসাব নিয়ামক শাখার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আহমদ হোসেনকে কথা বলতে শোনা যাচ্ছিল অডিওতে।
ফোনালাপের যে রেকর্ডটি ছড়িয়েছে, তাতে টাকা ছাড়া নিয়োগ না হওয়ার কথা আলোচনা হচ্ছিল।
আর আহমদ হোসেনের ফোনালাপ বলে যেটি ছড়িয়েছে, তাতে শিক্ষক পদে চাকরির জন্য ১৬ লাখ, তৃতীয় শ্রেণির পদে ১০-১২ লাখ ও চতুর্থ শ্রেণির পদে ৮ লাখ টাকা দিতে হবে- এমন আলোচনা হয় এক নিয়োগপ্রার্থীর সঙ্গে।
দুই মাস আগে অডিও ক্লিপটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে হাটহাজারী থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয় বলে জানিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে রবীনকে উপাচার্য দপ্তর থেকে সরিযে তার পূর্বের কর্মস্থল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয় এবং হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়।
বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে তদন্ত কমিটি গঠন ও নিয়োগ বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।