ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভাড়া বাসের চালক ও হেলপার স্থানীয়দের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাসের দুই চালককে মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী বৃত্তিপাড়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী চালক মোমিন শেখ অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন- সকালে ক্যাম্পাস হতে কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া করা বাসে বাহিরের যাত্রী উঠানোর জন্য গাড়ি রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে জ্যাম সৃষ্টি করছে। পরে তিনি গাড়ি থেকে নেমে ওই বাসের চালককে রাস্তা ছেড়ে দিতে বললে হঠাৎ করেই চালক ও হেলপার তার উপর চড়াও হয়ে ব্যাপক মারধর করে। পরে আরেক বাসের চালক সালাহউদ্দিন তাকে বাঁচাতে এলে তাকেও ব্যাপক মারধর করে গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙে ফেলে। এসময় তার কাছে থাকা একটি স্মার্ট ফোন ভেঙে যায় এবং সালাহউদ্দিনের পকেটে থাকা দশ হাজার সাতশ টাকা হামলকারীরা ছিনিয়ে নিয়ে রড, লাঠি-সোটাসহ আরও লোক ডেকে এনে মারধর করে। সুয়াইল পরিবহনের চালক জসিম, হেলপার লালন, স্থানীয় গ্রামের জুয়েল ও রবিউলসহ প্রায় ৩০ জন মিলে এ হামলা চালায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাসের চালক জসিম বলেন, আমি ঘটনার সময় বাস থেকে নামিনি। এমনিতেই প্রতিটি বাজারে জ্যাম থাকে। ওই সময় জ্যাম সৃষ্টি হলে সরকারি বাসের ড্রাইভার এসে আমাদের হেলপারকে বকাবকি ও মারতে উদ্যত হলে আমি বাস সাইড করে দিই। আর হেলপারের বাড়ি ওই এলাকায় হওয়ায় মুহূর্তের মধ্যে অনেক লোকের সমাগম হয়ে মারামারির সৃষ্টি হয়। আমার বাসের হেলপার প্রচন্ড মারধরের শিকার হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি৷ তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।