সিলেটে একটি বিপন্ন প্রজাতির মুখপোড়া হনুমান উদ্ধার করেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) প্রাণী অধিকার ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক সংগঠন প্রাধিকারের সদস্যরা। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হনুমানটিকে নিজেদের তত্ত্বাবধানে রেখেছে সংগঠনটির কর্তৃপক্ষ ।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে সিলেট সদর উপজেলার এয়ারপোর্ট রোড সংলগ্ন খাদিমনগর ইউনিয়নের কুয়ারপাড় থেকে এই বিপন্ন প্রজাতির হনুমানটি উদ্ধার করা হয়।
প্রাধিকার সুত্রে জানা যায়, গত সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বৈদ্যুতিক শক খেয়ে হনুমানটিকে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্হানীয় রিপন কুমার দেব, এমদাদুল হক সোহাগ, মতি মিয়া ও শামিম আহমদসহ এলাকার কয়েকজন ব্যাক্তি হনুমানটিকে উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে লিটন দেব ও তার ভাই রিপন দেব হনুমানটিকে তাদের বাসায় নিয়ে আসেন। হনুমানটি অন্তঃসত্ত্বা ছিল। প্রাথমিক সেবা শুশ্রূষা শেষে কিছুটা সুস্থ হওয়ায় হনুমানটিকে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু দূর্ঘটনা বসত গাছ থেকে পড়ে গিয়ে হনুমানটির গর্ভপাত হয় এবং শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
পরবর্তীতে ভুমিসন্তান বাংলাদেশের সমন্বয়ক আশরাফুল কবিরের মাধ্যমে প্রাধিকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এবং প্রাধিকারের সভাপতি মাহাদী হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে হনুমানটিকে উদ্ধার করেন এবং হনুমানটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। বর্তমানে হনুমানটিকে প্রাধিকারের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রাধিকারের সভাপতি মাহাদী হাসান বলেন, “আমরা হনুমানটিকে পর্যবেক্ষনে রেখেছি এবং তার চিকিৎসা চলছে। হনুমানটি এখন কিছুটা সুস্থ এবং নিজেই খাবার খেতে পারছে। আশা করি এক সপ্তাহের মধ্যে এটি পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে। সুস্থ হলেই আমরা তাকে জঙ্গল অবমুক্ত করবো।”
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে তিন প্রজাতির হনুমান দেখা যায় তার মধ্যে মুখপোড়া হনুমান অন্যতম। সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের মিশ্র চিরসবুজ বনে এদের দেখা যায়। কিন্তু বনজঙ্গল ধ্বংস ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারনে দিন দিন প্রাণীটি আশঙ্কাহারে কমে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বে মুখপোড়া হনুমান বিপন্ন প্রাণী বলে বিবেচিত ।
