ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের শিক্ষা ও টেক্সটাইল গবেষণা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ (নিটার) এর কনফারেন্স রুমে দুপুর দুই ঘটিকায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা ও বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু ও তৎকালীন আন্তর্জাতিক বিশ্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভা আয়োজন করেছে।
উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ আলী খোকন, চেয়ারম্যান, গভর্নিং বডি, নিটার ও প্রেসিডেন্ট, বিটিএমএ এবং প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড: মো: রেজাউল ইসলাম, পরিচালক, বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিটারের মাননীয় পরিচালক মহোদয় জনাব মো: জোনায়েবুর রশীদ।
ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) এর এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর আলভি আল সৃজনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা সাবলীলভাবে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার মধ্যমণি জনাব মোহাম্মদ আলী খোকন, ড: মো: রেজাউল ইসলাম এবং জনাব মো: জোনায়েবুর রশীদ প্রফুল্লচিত্তে বক্তব্য রাখেন। তিন বক্তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব, সময়ানুবর্তিতা, ধৈর্যশক্তি ইত্যাদি গুণাবলি কিভাবে বর্তমান প্রজন্মকে প্রভাবিত করতে পারে, কিভাবে বর্তমানে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সার্বিক বিষয়াদি সততার সাথে সামলে নেয়া যায়, কেন বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবার হত্যা বিষয়ে সত্য গোপন করা উচিত না, তৎকালীন সময়ের ব্রিটিশ এবং পাকিস্তানের কার্যাদির প্রতি ধিক্কার ইত্যাদি বিষয় উঠে আসে।
জনাব মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, বাঙালির মুক্তির আন্দোলনের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে স্বাধীন করেছিলেন তখন কিছুই ছিল না, তিনি তার মেধা সততা আর দক্ষতা দিয়ে যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি দেশকে গড়ে তুলেছিলেন। একই সাথে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও রেখেছিলেন কূটনৈতিক সফলতা আর দক্ষতা। অল্প সময়েই অর্জন করেছিলেন জুলিও কুরির মত পদক। তিনি আরো বলেন ” আজকের শিশু আগামি দিনের ভবিষ্যৎ, তোমরা নিজেদের গড়ে তোলো।” তিনি আরও বলেন, “কে কোন দল সমর্থন করবে এটা তার ডেমোক্রেটিক রাইট, কিন্তু সত্যকে গোপন করা কারো ডেমোক্রেটিক রাইট নয়।”
প্রধান বক্তা অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল ইসলাম তার বক্তব্যে আন্তর্জাতিক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের দক্ষতা ও প্রজ্ঞার কথা তুলে ধরেন। বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি পাওয়া যে কত কঠিন ছিল, আর তা অর্জন করা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের কারণে হয়েছিলো বলে মনে করেন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল ইসলাম।
প্রায় আড়াইশো জন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত অংশগ্রহণে সুষ্ঠুভাবে আলোচনা সভা সম্পন্ন হয়।