মায়িশা ইসলাম রুপা, ঢাকা: মেকআপ শিল্পের পেছনে রয়েছে অন্ধকার জীবন। মেকআপ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশেষ করে মেয়েরা মেকাপ করতে পছন্দ করে। নিজেকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলার জন্য মেকআপ একটি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে ব্যাবহার করা হয়। কিন্তু মেকআপ এর রহস্যের গণ্ডি কি জানি! এর উদঘাটন বিস্তৃত বিবর্ন। তাছাড়া শুটিং প্রোগামে মেকআপ ব্যবহৃত হয়।
মেকআপ এর পিছনে রয়েছে বেদনাদায়ক ঘটনা। মেকআপ তৈরীর অন্যতম উপাদান হলো মাইকা। আর এই মাইকার পেছনে রয়েছে বেদনাদায়ক ঘটনা। মাইকা খনিজ পদার্থ। মুখ ঠোঁটের সৌন্দর্যের জন্য ব্যবহৃত হয় মাইকা। মাইকা স্বচ্ছ এক ধরনের ধাতব পদার্থ। নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগতে পারে মাইকার সাথে মেকআপ এর কি সম্পর্ক?
মাইকা প্রধানত খনি থেকে সংগ্রহীত। আপনি হয়তো ভাবছেন খনি থেকে যন্ত্র দিয়ে তোলা হয়। প্রশ্ন জাগতে পারে মায়ের সাথে কোন সম্পর্ক? খনি থেকে যন্ত্রের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয় কিন্তু নায়িকা সংগ্রহ করা হয় নিজ হাতে। বিশেষ করে বিহার পশ্চিমবঙ্গ দক্ষিন ভারত কিছু জায়গায় সবচেয়ে বেশি দরিদ্র মানুষ বসবাস করে। এখানকার মানুষের মাথাপিছু আয় ত্রিশ রুপি।
মাইকা রাজ্য দূর থেকে দেখলে মনে হবে ইঁদুরের গর্ত।কিন্তু কাছে গেলে মনে হবে মাঝারি লোকের ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া সম্ভব। ভিতরে গাঢ় অন্ধকার। আর এই অন্ধকারে ঢাকা পড়েছে এখানকার মানুষের অন্ধকার জীবন। যে বর্নবাদে ঢাকা এক জীবন। যে কাজের মাধ্যমে পৃথিবীর উজ্জ্বলতম সৌন্দর্যগুলো আমাদের মুখ রাঙাতে ব্যাস্ত। কুৎসিত রুপটাকে তুলে আনে প্রকাশে। এখানে মাটির নিচে পাওয়া যায় উচ্চ মানের মাইকা। খনি তৈরী করা হয় বেসরকারিভাবে। সরকারি অনুমোদন নেই। কিন্তু কেন?
এ স্থানগুলো প্রভাবশালীদের হাতে তারা জায়গাগুলো দখল করতে সরকারের নানা দপ্তর থেকে ক্ষমতা করে নেয়। কোনো বাধা নেই এখানে। যযন্ত্রপাতির ব্যাবহার হয় না এখানে। হাতের শক্তিতে গর্ত খুঁড়ে খনি বানানো হয়। এ গর্তই মরনফাঁদ। মাইকা খনির শ্রমিক অধিকাংশ শিশু যাদের বয়স ৯_১০। যেখানে মেকআপ এর জন্য লাখ লাখ, কোটি টাকা খরচ করে, সেখানে শুধুমাত্র একমুঠো চাল কিনতে এসব শ্রমিক রা কাজ করে। বিনিময়ে পায় বিশরুপি। মোটা চাল কিনতে হিমশিম। এ অঞ্চলে কাজ নেই।
২০১৬ সালের এক প্রতিবেদনে তথ্য অনুযায়ী দেখা যায় এসব রাজ্য ছয় হাজারো বেশি শিশু শ্রমিক কাজ করে। তাদের শিক্ষার আলো নেই। না কোনো আনন্দ। স্কুল নেই বিদ্যাপাঠে এসব শিশু বঞ্চিত। শুধু পরিশ্রম তাও মৃত্যুকে নির্ঘাত করে। এক বেলায় ভাতের বিনিময় চালিয়ে যায় কাজ। ক্যারি হেমার একটি বিখ্যাত উক্তি মনে পড়ে যায় “The business of beauty are very ugly”. এসব ঘটনা লুকিয়ে রাখা হয়েছে যেন তাদের ব্যাবসা লুটে না যায়! এসব অপকর্ম প্রকাশ হতাহত নেই কারো? বিকল্প পদ্ধতি বিশ্লেষণ করার তৎপরতা নেই।আসন্ন মৃত্যু আমাদের সৌন্দর্যের আড়ালে। জাতি কি পারবে এই অন্ধকার জীবন থেকে আলো ফিরিয়ে দিতে।